নয়াদিল্লি: সংসদে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এ বারের বাজেটে কিছুটা হলেও প্রত্যাশা পূরণ হল মধ্যবিত্তের। বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে আয়করে ছাড়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
এ দিন পেশ করা বাজেট প্রস্তাবে আয়করে ব্যাপক ছাড়ের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, আয়কর আইনের ধারা ৮৭এ-র অধীনে রিবেট ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। নতুন কর কাঠামোয় (new income tax regime) আয়কর আইনের ধারা ৮৭এ-র অধীনে রিবেট ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
পাশাপাশি, মৌলিক ছাড়ের সীমা (Basic exemption limit) ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। ৩-৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ আয়কর। ৬-৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১০ শতাংশ আয়কর। কারও বছরে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ৪৫ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। যা আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম। যাঁর ১৫ লক্ষ টাকা বাৎসরিক আয় তাঁকে দেড় লক্ষ টাকা কর দিতে হবে। আগে দিতে হতো ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা। বছরে আয় যদি ১৫ লক্ষ টাকার বেশি হয় তা হলে ৩০ শতাংশ হারে দিতে হবে কর।
২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে সাতটি ক্ষেত্রকে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, এগুলি হল “দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, পরিকাঠামো এবং বিনিয়োগ, সম্ভাবনা, কৃষি বৃদ্ধি, যুব শক্তি এবং আর্থিক ক্ষেত্র”।
পাশাপাশি বাজেটে আবাস যোজনা নিয়ে বড়ো ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কেন্দ্রের এই জনপ্রিয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য বরাদ্দ ৬৬ শতাংশ বেড়ে ৭৯,০০০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। রেলের জন্য, ২.৪ লক্ষ কোটির ব্যয় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যা প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবর্ষে সংশোধিত রাজস্ব ঘাটতি হল ৬.৪ শতাংশ। আগামী অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি ৫.৯ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ৪.৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।