বারাসত: শিশু চুরির ভুয়ো খবরে শোরগোল। শিশুচোর সন্দেহে বারাসতে গণপ্রহারের শিকার দুই মহিলা-সহ মোট ৩ জন। সেই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন বারাসত পুলিশ।
বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া সাফ জানিয়ে দেন, বারাসতে কোনো রকম শিশুচুরির ঘটনা ঘটেনি, পুরোটাই গুজব। মানুষকে এই ধরণের গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। পাশাপাশি, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, কাজি পাড়ায় যা ঘটেছিল তা ছিল একটি খুনের ঘটনা। এর সঙ্গে ছেলেধরার গুজবেরও সম্পর্ক নেই।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বুধবার বারাসতের মোল্লা পাড়ায় গুজবের জেরে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয় জনতা। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের হাসপাতালে ভর্তি করায়। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বারাসতেরই মডার্ন স্কুলের কাছে। সেখানে অটোতে উঠতে যাচ্ছিলেন এক মহিলা এবং তাঁর সঙ্গী। কিন্তু সেই মহিলাকে ছেলেধরা সন্দেহে পাকড়াও করে জনতা। তার পর শুরু গণধোলাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সামনেই চলে মারধর।
প্রসঙ্গত, ৯ জুন সন্ধেয় বারাসতের একটি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছিল ১১ বছরের এক নাবালক। তারপরে সমস্ত জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও বারাসাত থানা এবং রেল পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করেছিল পরিবার। পাঁচদিন পর অর্থাৎ ১৪ জুন বাড়ির অদূরে একটি শৌচালয় থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় কিশোরের পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনা থেকেই বারাসত জুড়ে শিশু চুরির গুজব রটে। এই গুজবে অনেকসময়ই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।