পুকুর ভরাট করে আরএসএস কার্যালয়! এ বার সাত দিনের মধ্যে নথি চেয়ে নোটিস আসানসোল পুরনিগমের

আসানসোল : আরএসএস কার্যালয়ের নকশা বা প্ল্যান, ডিড ও হোল্ডিং ট্যাক্সের নথি চেয়ে শুক্রবার নোটিশ পাঠাল আসানসোল পুরনিগম। সাতদিনের মধ্যে এইসব নথি নিয়ে আসানসোলের আরএসএসের কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের আসানসোল পুরনিগমে আসতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এইসব নথি নিয়ে আসা না হলে, আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এও বলা হয়েছে, কার্যালয়টি বেআইনি বা অবৈধ নির্মাণ হিসাবে প্রমাণিত হলে, সেটিকে ভেঙে দেওয়া হবে।

এদিকে, আসানসোলের ধাদকার আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কার্যালয় নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের পরে, সেখানে পৌঁছায় আসানসোল পুরনিগম ইঞ্জিনিয়ার, বিএলআরও দফতরের আধিকারিক ও আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তরজায় জড়ান আসানসোল পুরনিগম মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলার পরেই বৃহস্পতিবার আসানসোলের আরএসএস কার্যালয়ে পুলিশ চলে যায়। বলা হচ্ছে, ওই কার্যালয় নাকি পুকুর ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে। সে তো পরে প্রমাণিত হবে, কী ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে। তার আক্রমণ, এই বাংলায় এখন এইসবই হয়। যারা দেশ সেবা ও দেশ গঠনের কাজ করে, তাদের কার্যালয়ে পুলিশ যায়। চাওয়া হয় প্রমাণপত্র। আর যারা দেশ বিরোধী কাজ করে, তারা বাংলায় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকে। এখানে জঙ্গিরা হোটেল ভাড়া নিয়ে থেকে অপরাধমুলক কাজ করে। তখন তাদেরকে দেখার কেউ থাকেনা। বিজেপি বিধায়ক বলেন, লোকসভা নির্বাচনে শহরের মানুষেরা রাজ্যের শাসক দল থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। আগামী দিনে গোটা বাংলার মানুষেরা তাই করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন।”

অন্যদিকে, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বিধান উপাধ্যায় বলেন, ওই আরএসএস কার্যালয়ের পাশ করা নকশা বা প্ল্যান, ডিড ও হোল্ডিং ট্যাক্স সংক্রান্ত কাগজ সহ অন্যান্য নথি সাতদিনের মধ্যে চেয়ে এদিনই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সব কিছু নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সব পরীক্ষা করে দেখা হবে। যদি বেআইনি নির্মাণ হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তেমন হলে ভেঙে দেওয়া হবে।

তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতির কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমরা তা করি না। আসানসোল সার্কিট হাউসের সামনে তৃনমুল কংগ্রেসের অফিস ছিল। সেটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বেআইনী বা অবৈধ কোন কিছু বরদাস্ত করা হবে না।”

এদিকে, আরএসএসের আইনী পরামর্শদাতা আইনজীবী পীযুষ কান্তি গোস্বামী এদিন বলেন, “শুনেছি এদিন আসানসোল পুরনিগমের তরফে নকশা সহ অন্য নথি সাতদিনের মধ্যে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। নোটিশ কার্যালয়ে গেছে। তবে, এতকিছু তো সাতদিনের মধ্যে যোগাড় করা যায় না। আমরা ১৫ দিন সময় চেয়ে আবেদন করব। আশা করি, তা আমাদেরকে দেওয়া হবে”। এদিনও তিনি দাবি করেন, সবকিছু আছে।

Related posts

ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসছেন হেমন্ত সরেন

গেস্ট হাউসের ঘরে সঙ্গিনীকে গুলি করে আত্মঘাতী যুবক, চাঞ্চল্য লেক গার্ডেন্সে

জেল থেকে ছাড়া পেলেন আরাবুল, ‘হঠানো’ নিয়ে কথা বলবেন এক সপ্তাহ পর