কলকাতা: লোকসভা ভোট মিটে গেছে। তবে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে রাজ্যে এখনও রয়ে গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী । মূলত স্কুলগুলিতে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, স্কুলের বিকল্প হিসাবে কোথায় বাহিনী রাখা হবে, তা নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিজেপির অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে বাংলায়। এই অভিযোগ করেছে বঙ্গ–বিজেপি। আর তাদের দাবি, অন্তত দুর্গাপুজো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হোক বাংলায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার জায়গা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এবার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে।
রাজ্যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই মঙ্গলবার পর্যন্ত বাহিনী রাখা হবে। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে সেই সময়সীমা আরও বেড়েছে। উচ্চ আদালত জানায়, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মোকাবিলায় আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত বাহিনী থাকবে। এমতাবস্থায় রাজ্যের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘দখল করে রেখেছে’ বলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীর বক্তব্য, অনেক স্কুল, কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার বন্দোবস্ত করার ফলে পড়াশোনাই শুরু করা যাচ্ছে না।
আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্ট জানায়, শিশুদের শিক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আদালত দেখছে। পড়ুয়াদের ক্ষতি হবে এমন জিনিস করা যাবে না। কেন্দ্র–রাজ্য উভয়ের কাছেই রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, স্কুলের বদলে কোথায় রাখা যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী?