হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই নবান্ন অভিযানের রিপোর্ট পেশ রাজ্যের

কলকাতা: গত ১৩ সেপ্টেম্বর ছিল বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি। ওই আন্দোলন ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাওড়া এবং কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, পুলিশি অত্যাচারের। তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালতের নির্দেশ মেনেই সোমবার ভিডিও ফুটেজ-সহ রিপোর্ট জমা দিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব।

১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব পিভি গোপালিকাকে রিপোর্ট ফাইলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, সোমবার স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে। সঙ্গে দু’টি পেন ড্রাইভ জমা দেওয়াও হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই দু’টি পেনড্রাইভে রয়েছে কলকাতা ও হাওড়ার বেশ কিছু ‘তাণ্ডব’-এর দৃশ্য। এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগে পেন ড্রাইভ দেখুন প্রধান বিচারপতি, তা হলেই বুঝতে পারবেন কী ঘটেছিল”।

তিনি আরও বলেন, নবান্নের চারিদিকে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। ফলে সেখানে অবৈধ জমায়েত বা মিছিল গেলে পুলিশ বাধা দেবে এটাই স্বাভাবিক। শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা বলা হচ্ছে। প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। ইট ছোড়া হয়েছে। ৫০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী জখম হন। এটাকে কী ভাবে শান্তিপূর্ণ মিছিল বলা যায়?

অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন বলে একজন শিক্ষককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছে। বিজেপির আইনজীবী স্মরজিৎ রায়চৌধুরী আদালতে বলেন, যে ৪৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার মধ্যে কলকাতা থেকেই ৭৯ জন। এখনও ধরপাকড় চলছে।

এ দিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিপ্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলায় আগে যে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল থাকবে। কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার তালিকাও চেয়েছে আদালত। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: হাওড়া ময়দানে ব্যাগের দোকানে ভয়াবহ আগুন, আতংক এলাকায়

Related posts

বোলপুরে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নয়া মোড়, নেপথ্যে পরকীয়া

নিট ২০২৪: বিতর্কের মাঝেই অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল ডাক্তারিতে ভর্তির কাউন্সেলিং

হাথরসকাণ্ডে “গভীরভাবে দুঃখিত” ভোলেবাবা, এল ভিডিও বিবৃতি