ডেস্ক: বেহালার পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে খুন। নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তাক্ত মৃতদেহ। একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। সোমবারই পর্ণশ্রীর সেনপল্লি এলাকায় একটি বহুতলে বছর চল্লিশের সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে বছর বারোর তমোজিতের গলা নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুস্মিতা মণ্ডল এবং ছেলে তমোজিৎ মণ্ডল ঘরে ছিলেন এবং স্বামী বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী তপন মণ্ডল ছিলেন কর্মস্থলে। দুটি আলাদা ঘরে পড়ে ছিল দেহ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, তাঁরা কোনও চিৎকারের আওয়াজ পাননি। মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।তদন্তকারীরা বলছেন এই ঘটনার পরতে পরতে রয়েছে রহস্য।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ২টি আলাদা ঘরে পড়ে ছিল মা ও ছেলের মৃতদেহ। একজনের বেশি আততায়ী থাকার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, ঘরে ধাক্কাধাক্কির চিহ্ন মেলেনি। প্রতিবেশীরা কেউ চিত্কারও শুনতে পাননি। পুলিশ সূত্রে দাবি, যে মোবাইল ফোনে ক্লাস চলছিল, সেটি উধাও বলে দাবি। এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারে পুলিশ।
আরও পড়ুন : ইডি-র দফতরে দীর্ঘ জেরার শেষে ফের বিজেপিকে তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পুলিশ জানতে পেরেছে, বিকেলে প্রাইভেট টিউটর এসে সাড়া না পেয়ে ফিরে যান। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, তিনি গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। ডাকাডাকির পর দরজাও ধাক্কান। তারপর চলে যান। প্রাথমিক অনুমান অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন ওই ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভালো ছিল না। ইতিমধ্যে সুস্মিতার স্বামী পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী তপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে গৃহশিক্ষককেও। গোটা ঘটনাস্থল পুলিশ কঠোর নিরাপত্তার মুড়ে ফেলেছে। ফ্ল্যাটের বাকি আবাসিকদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে বলে খবর। গৃহকর্তাকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে খবর।