রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের রেশ আছড়ে পড়ল বিধানসভায়। সোমবার দিনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভার অন্দর। বগটুইতে পুড়ে নিরীহ মানুষজনের মৃত্যুতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। স্পিকার তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্পিকারের দিকে মুখ করে তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এরপরই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে রাজ্য বিধানসভা ভবনের অন্দরে। রীতিমতো ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের কার্যত হাতাহাতি বেঁধে যায় সে সময়।
জানা গিয়েছে, বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। চশমা ভেঙে যায় এক বিধায়কের। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। অসিতবাবুর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দ্বারা প্রহৃত হয়েছেন তিনি।
এরপরই বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, মনোজ টিগ্গাকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব এনে শাসক দল। তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা স্পিকারের কাছে এই দাবি জানান।